ঢাকা, ২৬ মে ২০১৯ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): আজ রবিবার বিকালে রাজধানীর বিজয় নগরের একটি হোটেলে ২০ দলীয় জোটের শরিক লেবার পার্টির একাংশ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে সড়ক ও রেলপথে চরম নৈরাজ্য চলছে। কোনো জবাবদিহিতা নেই। কে কার কথা শুনবে? সরকারের পক্ষ থেকে বারবার ঈদের আগে দুর্ভোগ হবে না বলা হলেও এবার ঈদযাত্রায় মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।
ফখরুল বলেন, প্রত্যেক ঈদের আগে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় এবার দুর্ভোগ হবে না। গতকালও এজন্য নতুন একটি ট্রেন উদ্বোধন করা হয়েছে। কিন্তু দেখতে পাচ্ছি সাধারণ যাত্রীরা টিকিট কেনার আগেই অর্ধেক টিকিট বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। চরম নৈরাজ্য চলছে, সবক্ষেত্রে লুটপাট আর নৈরাজ্য চলছে।
ফখরুল বলেন, গোটা জাতি অস্থিতিশীল। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সেই দল যে দল ১৯৭৫ সালে বাকশাল প্রতিষ্ঠিত করেছিল। আজকে সেই বাকশালকে আবার প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা হচ্ছে। তারা সব সময় শুধু সংবিধানের দোহাই দেয়। কোন সংবিধান, এটা কি ৭২ সালের সংবিধান? একদিকে গণতন্ত্রের কথা বলে অন্যদিকে গণতন্ত্রকে হত্যা করে। একদিকে সংবিধানের কথা বলে অপরদিকে তারাই ভঙ্গ করে। আজকে তেমনিভাবে সংবিধানকে ভঙ্গ করে দেশনেত্রীকে আটক রাখা হয়েছে। মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল আদালতেও মানুষ এখন আর ভরসা রাখতে পারছে না। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় আদালতেও আজ দলীয় ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।’
গুম, খুনের কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ ধরনের নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে দেশের মানুষের আগে কোনো পরিচয় ছিল না। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে দেশনেত্রী মিথ্যা মামলায় কারাবরণ করছেন। আপস করেননি বলে তিনি এখনও কারাগারে। গণতন্ত্রের সঙ্গে তিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে মাহফিলে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মাওলানা আব্দুল হালিম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, গোলাম মাওলা রনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply